
| বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 24 বার পঠিত
মুঠোবার্তা পাঠালো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। মুঠোবার্তায় তিনি জানান, শেয়ারবাজারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা-কর্মচারী অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে।
বুধবার (০৫ মার্চ) বিএসইসি চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে পাঠানো মুঠোবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
মুঠোবার্তায় উল্লেখ করা হয়, ‘‘বিগত দিনের পুঁজিবাজার এর বিভিন্ন অনিয়ম অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ১২টি লিস্টেড কোম্পানি এর বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত করে। এ পর্যন্ত তদন্ত কমিটি ৭টি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলমান, যার আওতায় রয়েছে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিএসইসি এর কিছু কর্মকর্তা।’’
বার্তায় বর্ণনা করা হয়, ‘‘এ ছাড়া বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ বছর চাকরি সমাপ্ত করায় বিধি মোতাবেক কমিশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাইফুর রহমানকে গত ৪ মার্চ অবসর প্রদান করা হয়। এই ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা বিএসইসির চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের কমিশনের বোর্ড রুমে চলমান সভায় জোরপূর্বক ঢুকে অবরুদ্ধ করে। তারা কমিশন মূল ফটকে তালা দিয়া দেয়, সিসি ক্যামেরা অফ করে দেয় এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অরাজক, ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে ও পেশীশক্তি প্রদর্শন করে। একইসঙ্গে তারা চেয়ারম্যানের সদ্য যোগ দেওয়া পিএস, যিনি সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব, তাকে লাঞ্ছিত করে।’’
মুঠোবার্তায় আরো জানানো হয়, ‘‘তারা দাবি করে উপরে উল্লিখিত দুইটি ইস্যুতে নেওয়া সিদ্ধান্ত তৎক্ষণাৎ প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কমিশনের তৎক্ষণাৎ পদত্যাগ করতে হবে। এর চরম উচ্ছৃঙ্খল ভীতিকর পরিস্থিতি ৪ ঘণ্টা চলে। কমিশন অবরুদ্ধ থাকার খবরে এবং বিএসইসি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠান (সিআইআই) হওয়ায় প্রথমে পুলিশ ও পরবর্তীতে সেনাবাহিনী বিএসইসিতে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় বিএসইসির কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এরূপ অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করেছে বলে প্রতীয়মান হয়।’’
জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিএসইসি ভবনের পঞ্চম তলায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিএসইসি চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিএসইসি ভবনের সামনে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিএসইসি ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিএসইসি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মাঝে বেশ কিছু তর্ক-বিতর্ক এবং উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ঘটে। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং মো. আলী আকবর সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাদের নিজস্ব গাড়িতে কমিশন ত্যাগ করেন।
Posted ১২:৩৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
bankbimaarthonity.com | saed khan